‎স্টাফ রিপোর্টারঃ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৬৬টি পূজামন্ডপের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান, মত বিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‎
‎বৃহস্পতিবার ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভা সভাপতিত্ব করেন, নাসিক প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। প্রস্তুতিমূলক সভায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নগরীর ৬৬টি পূজা মণ্ডপে প্রায় ৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
‎
‎প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সভাপতির বক্তব্যে  বলেন, “বিসর্জনের দিন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় এবং পূজার প্রতিটি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানুষ যেন আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
‎
‎তিনি আরও জানান, পূজার সময় যাতে শহরের অবকাঠামো নিয়ে কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সড়কের ছোট-খাটো গর্তগুলো মেরামতে প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। এছাড়া বিসর্জনের স্থানে বড় মঞ্চ ও আলোকসজ্জার জন্য প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় হবে। পূজার সময় পূজা পরিষদের নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে বলেও তিনি জানান।
‎
‎শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নতুন পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে শহরে বড় ড্রেন নির্মাণকাজ চলছে, যা শেষ হলে আগামী বর্ষায় নারায়ণগঞ্জে আর পানি জমবে না। তিনি বলেন, “সাময়িক অসুবিধা হলেও এটি নগরবাসীর জন্যই করা হচ্ছে।” একই সঙ্গে, জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ পলিথিন অপসারণে বঙ্গবন্ধু সড়কে কিছু ভ্যানগাড়ি চালু করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
‎
‎প্রশাসক জানান, ভবিষ্যতে শহরে পাবলিক লাইব্রেরি, চাইল্ড কেয়ার সেন্টার এবং আরও কিছু জনসেবামূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এ বিষয়ে অচিরেই নগরবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হবে।
‎
‎সভায় উপস্থিত ছিলেন নাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসাইন, সচিব নূর কুতুবুল আলম, সাধু নাগ মহাশয় আশ্রম সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য, শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখড়া মন্দির এর সভাপতি জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি, উপদেষ্টা শংকর সাহা, ভবানী শংকর রায়, সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা, জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
‎