স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি করে বের করেছে।
এসময়ে বন্দর থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুনে সু- সজ্জিত হয়ে সাউন্ড সিস্টেম এবং ঢাক ঢোল পিটিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকল্পিত করে তোলে পুরো আশপাশ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
বৃহস্পতিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় বন্দর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিষ্ঠার আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বন্দর বাজার হয়ে খান বাড়ি দিয়ে পৌরসভার সামনে দিয়ে কবিলের মোড় এসে সমাপ্ত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের প্রাণের দল। এদেশে যতবার নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, এদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় এনেছে। আপনারা দেখেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দলটিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে কাজ করেছেন। এখন পর্যন্ত এদেশের মানুষের জন্য তারা কাজ করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, আজকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বন্দর থানা বিএনপি কর্তৃক যে আয়োজন করেছেন, এই আয়োজনের জন্য আমি আমার পক্ষ থেকে বন্দর থানার সকল নেতৃবৃন্দকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যেহেতু জনগণের দল, আমরা এই বন্দরকে একটি নিরাপদ বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা সকল অন্যায়-অত্যাচার দূর করতে চাই। এবং এই বন্দরে শাসক হিসেবে নয়, যাতে শাসন কায়েম হয় তার জন্য আগামীতে যে নির্বাচন আসছে আপনারা বন্দরের বিএনপি প্রার্থীদের মনোনীত করে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিবেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে এড. আবু আল ইউসুফ টিপু বলেন, জিয়াউর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন ১৯ দফা আর আমাদের জননেতা তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিয়েছেন ৩১ দফা। আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য লিফলেট কর্মসূচির আয়োজন করেছি। এছাড়াও আরো অন্যান্য কর্মসূচি আমরা পালন করে থাকি। আমরা এর অংশ হিসাবে মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও লুটপাটকারীদের প্রতিহত করব। আমরা বন্দর থানায় কোন সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজ দেখতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, হাসিনার কোন সন্ত্রাসী আমরা দেখতে চাই না। আমরা ২০কোটি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই। আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা সকলে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে সমস্ত অপকর্ম রুখে দেব। আওয়ামী লীগের যে সমস্ত দোসররা ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, খুনখারাবি, রাহাজানির সাথে জড়িত, তাদের সবাইকে আমরা রুখে দেব।
এদিকে বন্দর থানা বিএনপির আনন্দ র্যালিকে সফল করতে দুপুর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় ও জাতীয় পতাকাসহ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বড় বড় ছবিকৃত ব্যানার- ফেস্টুনে গাড়ি বহর সু-সজ্জিত করে সাউন্ড সিস্টেম এবং ঢোল বাজনা বাজিয়ে বিশাল শোডাউন করন বন্দর শহীদ মিনারে এসে জড়ো হয়।
বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল খান বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উল্লাহ টিপু, বন্দর থানা বিএনপির অন্তর্গত ১৯নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ উদ্দিন, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন পাঠান, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাহেব আলী, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মনাক্কা, সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মিয়াজী, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাসেল বেপারী, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজল আহম্মেদ কালুন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাজী নজরুল ইসলাম, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাজী জাবেদ হোসেন, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান টুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সফি উদ্দিন সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসলাম নারু, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ নয়টি ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।