1. admin@dipto24.com : admin :
রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সোনারগাঁয়ে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যা’র অভিযোগ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে গাঁজাসহ মা-মেয়ে গ্রেপ্তার। বন্দরে বিচার শালিস বৈঠকে হাতুড়ি পিটা করে হোসেয়ারী কর্মী আলমগীর নিহত। বন্দরে দরজা ভেঙ্গে হাসানের ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার। বন্দরে ডেভিল হান্ট অভিযানে যুবলীগ কর্মী ফকির উল্ল্যাহ গ্রেপ্তার। আপনারা নির্যাতিত ত্যাগী নেতা চান, না সুবিধাবাদী নেতাদের চান-এড. টিপু। জনপ্রতিনিধি না হয়েও কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ’র ব্যতিক্রম উদ্যোগ। ফতুল্লায় বাউল শিল্পী আনিকার রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক। বিএনপি নেতা ইব্রাহিমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। প্রতি শুক্রবারের মতো আজও নিজ হাতে পথশিশুদের উন্নতমানের খাবার খাওয়ালেন: এড. টিপু।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের ড্রাইভার হানিফ তথা পিতা-পুত্রের দাপট।

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৩৩ বার পঠিত

মাসুম মির্জা ব্রাক্ষণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ অফিসের ড্রাইভার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মি পিতা ও পুত্র হওয়ায় তাদের দাপটে অন্যান্য কর্মীরা অসহায়। সরকারি বাড়ি ভাড়া পেয়েও অফিসের কক্ষ দখল করে বসবাস করাটা তাদের কোন ব্যাপার না। প্রধান সহকারী মহিউদ্দিন এর  যুগ সাজসে বিভিন্ন গুদামের কর্মকর্তা ও চালকল মালিকদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করাটা তাদের জন্য নিত্য দিনের ঘটনা

এমনই অভিযোগ এসেছে এই প্রতিবেদকের কাছে। সূত্রে জানা যায়, ১৫-২০ বছর আগে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের মোঃ হানিফ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ড্রাইভার পদে যোগদান করে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পরে। অফিসের প্রধান কর্তার ড্রাইভার হওয়ায় তাকে সবাই সমীহ করে চলে। ড্রাইভার হানিফ কে টাকা দিলে বছরের পর বছর একই স্থানে অনেকদিন চাকরি করা যায়।

দিনরাত সব সময় অফিসে অবস্থান করায় তার সাহসটা একটু বেশীই। তার কাছে সবাই জিম্মি। ৩ বছর পরপর বদলী সিষ্টেম থাকলেও ৮-১০ বছর ধরে একই স্থানে কর্মরত অফিসের প্রধান সহকারী মোঃ মহিউদ্দিন’র যোগ সাজসে সকল অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে সে অনায়াসে। ড্রাইভারের কথা ছাড়া প্রধান সহকারী কোন কাজই করেনা। শুধু তাই নয়, কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা হয়েও স্থানীয় ভাবে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে লক্ষাধিক টাকা প্রধান সহকারী কে ঘুষ দিয়ে নিজপুত্র সাজিদুর রহমান সাজু কে ভবনের ৩য় তলার সার্কিট হাউজে পরীচ্ছন্নতা কর্মী -হিসাবে ভাগিয়ে নেয়। পূর্বে কর্মরত স্থানীয় ব্যাক্তি কে কৌশলে অন্যস্থানে পাঠিয়ে, পত্রিকায় কোন প্রকার বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে অন্য জেলার লোক অর্থাৎ কিশোরগঞ্জের সাজু কে (পুত্র)কে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়াই স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

ভবনের নীচ তলার ২টি কক্ষের একটিতে ১০৩ নম্বর কক্ষে পিতা হানিফ মিয়া এবং আরেকটিতে পুত্র সাজু দখল করে অফিসের ভিতরই রাত্রি যাপন করে। পিতার সাথে সাথে পুত্রের দাপটেও অফিসের কর্মীরা কুণ্ঠাসা। এতে ডিসি ফুড অফিসের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।

আরো জানা যায়, জেলা অফিসের অধীনস্থ ১০টি খাদ্য গুদামের নিরাপত্তাকর্মী ও পরিচ্ছতা কর্মীদেরকে বড় কর্তার ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় টাকা আদায় করেছে। এমনকি ডিসি ফুড’র নাম ভাঙ্গিয়েও বিভিন্ন গুদামের কর্মকর্তাদের কাজ থেকে সে অর্থ আদায় করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশেষ করে বান্ছারামপুর উপজেলার উজানচর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নামের আদি অক্ষর “ন” আশুগঞ্জের সাবেক খাদ্য নিয়ন্ত্রক নামের আদি অক্ষর “র”  ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নামের আদি অক্ষর”স”  এবং নাসিরনগরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নামের আদি অক্ষর “ম” সহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বড় কর্তার নামে টাকা আদায়ের বিষয়টা সকলেই জানে। জেলায় খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের মাসিক মিটিংয়ে অন্যান্য গুদামের কর্মকর্তারা এসে প্রতিবারই ড্রাইভার হানিফ কে বকশিস দিতে হয়, নইলে ডিসি ফুড’র কাছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের চাল কল মালিকগণ কোন কারণে অফিসে গেলেই তাকে শুধু শুধু টাকা গুজে দিতে হয়। অফিসের প্রধান সহকারী ও ড্রাইভার সকল কর্মকান্ড চালায় বলে এ ড্রাইভার অসাধ্য সকল কাজ সাধন করে চলে।

.   এ বিষয়ে ড্রাইভার হানিফ মিয়া মিডিয়া প্রতিনিধি কে বলেন,বেতনের সাথে বাসা ভাড়া পাই। তারপরও আমি অফিসে থাকি সকল স্যারেই জানে। ২০০৯ইং সালে চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে ১৬ বছর যাবৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ডিসি ফুডের ড্রাইভার কর্মরত আছি। ১৬ বছর যাবত এক বারও বদলি হয়নি। উল্টো সাংবাদিক কে প্রশ্ন ছুড়ে দেন ? আপনি এত কিছু জানার দরকার আছে ? এত কিছু জানার কারন কি ? এমন তথ্য বহু সাংবাদিক কে দিছি ? বহু সাংবাদিক তথ্য নিছে ? আমি অফিসে থাকি,তাহা অফিসাররা বুঝবে ? 

এ বিষয়ে জেলা খাদ্য অফিসের প্রধান সহকারী মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, আমি ৭ বছর ধরে এই অফিসে চাকুরী করছি। আমি কোন ঘুষ লেনদেনের সাথে জড়িত না।  ড্রাইভার হানিফ বেতনের সাথে বাড়ি ভাড়া পায়। সে পরিবার নিয়ে থাকে না, একা থাকে ।আলাদা একটা রুমে থাকে। ডিসি ফুডের এখতিয়ার,আলাদা একটা রুম আছে,এই জন্য দিয়ে রাখছে।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোঃ আব্দুল্লাহিল শাফি কে একাধিক বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি । 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দীপ্ত ২৪
Theme Customized By Shakil IT Park