নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন, শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য সৎ এবং আদর্শবান নেতৃত্ব অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান।

২৭শে আগস্ট (বুধবার) বাদ আসর, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের চাষাড়া অফিসে অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মহানগর ১৩ নং ওয়ার্ড শাখার প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

সম্মেলনটি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বক্তা ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, কে কী বলল, তা শোনার এখন আমাদের সময় নেই। সামনে নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নারায়ণগঞ্জ-৪ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের কমিটি সম্পূর্ণ করার ঘোষণা দিচ্ছি। আমরা কাজ শুরু করেছি, এই ধারাবাহিকতা যদি বজায় থাকে, তবে ইনশাআল্লাহ আগামীর নারায়ণগঞ্জ হবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শক্ত ঘাঁটি।

তিনি আরও বলেন,
“আমরা বিগত দিনে বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব দেখেছি, উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি শুনেছি। কিন্তু মানুষ আজ হতাশ। মানুষ ভালো নেই। তারা প্রকৃত অর্থে ভালো ও সৎ নেতৃত্বের অপেক্ষায় আছে। যদি নারায়ণগঞ্জ সৎ এবং আদর্শবান নেতৃত্বের হাতে পরিচালিত হয়, তবে এটি হবে যানজটমুক্ত, মাদকমুক্ত, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শহর। কিন্তু যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে তার চরম খেসারত আমাদেরকেই দিতে হবে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন,
“আমরা শুধু রাজনীতি করার জন্য রাজনীতি করতে চাই না। আমরা চাই একটি মূল্যবোধনির্ভর সমাজ গড়ে তুলতে, যেখানে ধর্মীয় ও নৈতিক আদর্শ থাকবে। তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। আর এ কাজের জন্য আলেম সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”

প্রধান বক্তা মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী বলেন,
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল নয়, বরং এটি একটি নীতিভিত্তিক সংগঠন। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো ইসলামী আদর্শকে সামনে রেখে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সৎ নেতৃত্ব তৈরি করা। আমরা চাই নারায়ণগঞ্জকে একটি দৃষ্টান্তমূলক শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে।

উপস্থিত ছিলেন
মাওলানা তাইজুল ইসলাম আব্বাস, মাওলানা আবু বক্কর, মাওলানা তৈয়বুল হোসেন, হাজী শাহীন, মাহবুবুর রহমান, ছাত্রনেতা মিরাজ, শেখ হিরা ইসলাম, মাওলানা সালাউদ্দিন, মাওলানা সাজ্জাদ, মাওলানা কামরুল হাসান দায়েমীসহ আরও অনেকে।

আলোচকরা সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার আহ্বান জানান এবং দেশের চলমান সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।