স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ায় অবস্থিত ঐতিহাসিক জিয়া হলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ করে ভবনটির ভেতর থেকে ধোঁয়া উড়তে শুরু করলে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা ভবনটিতে কীভাবে আগুন লেগেছে তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. মো. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত রহস্যজনক। এগুলো ফ্যাসিবাদ দোসরদের হুকুমে কেউ করেছে, জনগণের নিরাপত্তা ও ঐতিহাসিক স্থাপনাকে রক্ষা করতে হলে প্রশাসনকে অবশ্যই কঠোর তদন্ত করতে হবে। সত্য উদঘাটন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
টিপু আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিকে ধরে রাখতে হবে তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয় কে উদ্দেশ্য করে বলেন দ্রুত এই জিয়া হলটিকে ভেঙে পুনরায় নির্মাণ করে আবার আগের মতন যাতে মানুষ এখানে সভা সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারে সেই ব্যবস্থাটি দ্রুত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, সকাল বেলায় দোকান খোলার সময় হঠাৎ দেখি ভবনটির ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। তবে ভবনটি যেহেতু খালি পড়ে ছিল, তাই আগুন লাগা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। ও তাড়াতাড়ি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলাম, ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
অন্য এক পথচারী বলেন,এমন ভবনে আগুন কেন লাগবে? অবশ্যই কেউ ইচ্ছা করে আগুন দিয়েছে বলে আমাদের ধারণা।
জিয়া হল একসময় নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তবে গত কয়েক বছর ধরে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনটি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়া আখড়া হয়ে উঠেছে,
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস জানায়, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করে থাকে, তাহলে তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এভাবে যদি ঐতিহাসিক ভবনগুলো অবহেলায় পড়ে থাকে তবে আগামীতে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।