1. admin@dipto24.com : admin :
রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সোনারগাঁয়ে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যা’র অভিযোগ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে গাঁজাসহ মা-মেয়ে গ্রেপ্তার। বন্দরে বিচার শালিস বৈঠকে হাতুড়ি পিটা করে হোসেয়ারী কর্মী আলমগীর নিহত। বন্দরে দরজা ভেঙ্গে হাসানের ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার। বন্দরে ডেভিল হান্ট অভিযানে যুবলীগ কর্মী ফকির উল্ল্যাহ গ্রেপ্তার। আপনারা নির্যাতিত ত্যাগী নেতা চান, না সুবিধাবাদী নেতাদের চান-এড. টিপু। জনপ্রতিনিধি না হয়েও কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ’র ব্যতিক্রম উদ্যোগ। ফতুল্লায় বাউল শিল্পী আনিকার রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক। বিএনপি নেতা ইব্রাহিমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। প্রতি শুক্রবারের মতো আজও নিজ হাতে পথশিশুদের উন্নতমানের খাবার খাওয়ালেন: এড. টিপু।

জুলাইযোদ্ধা সিরাজের স্ত্রীর পাশে নারায়ণগঞ্জের ডিসি।

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ১০০ বার পঠিত

শহর সংবাদাতাঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার প্রয়াত অহিদ মিয়ার ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম এক সময় অটোরিকশা চালিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাতেন। রাজনীতি বা ঝামেলায় জড়াতেন না। কিন্তু জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞ তাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। আন্দোলনের দিনগুলোতে তিনি শিক্ষার্থীদের বিনা ভাড়ায় এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পৌঁছে দিতেন।

শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর বিজয় মিছিলে যোগ দিতে চাষাঢ়া শহীদ মিনারের পথে নারায়ণগঞ্জের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সিরাজ। নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও তার শরীর থেকে সব রাবার বুলেট বের করা সম্ভব হয়নি। আহত শরীর নিয়েই তিনি অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন।

এর মধ্যে নতুন বিপদ নেমে আসে। তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম টিনার দুটি কিডনিই প্রায় বিকল হয়ে যায়। ধার-দেনা করে চিকিৎসা শুরু করেন সিরাজ। শেষমেশ স্ত্রীকে ভর্তি করতে হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এতে বন্ধ হয়ে যায় তার একমাত্র আয় মাধ্যম অটোরিকশা চালানো।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহ-সমন্বয়ক ও যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নীরব রায়হান বিষয়টি জানার পর সিরাজকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন। ডিসি ঘটনাটি শোনার পরপরই আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করেন এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিকিৎসা সহায়তার আবেদন করার পরামর্শ দেন।

নীরব রায়হান বলেন, ডিসি মহোদয় জুলাই বিপ্লবকে অন্তর থেকে ধারণ করেন। আজ আহত জুলাইযোদ্ধা সিরাজুলকে নিয়ে গেলে তিনি ধৈর্য ধরে সব কথা শুনেছেন। সিরাজের স্ত্রীর কিডনি বিকল হওয়ার কথা জানার পরই সহায়তা দিয়েছেন। যদি দেশের প্রতিটি জেলায় এমন ডিসি থাকতো, তাহলে জুলাই বিপ্লব সফল হতো। উনি দলমত নির্বিশেষে সব জুলাই বিপ্লবে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সর্বোচ্চ সহয়তা করেন।

সিরাজুল ইসলাম কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য অর্থ জোগাড় করতে না পেরে হতাশ ছিলাম। কিন্তু ডিসি স্যার আমার বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, দায়িত্বে থাকতে জুলাই বিপ্লবে শহীদ বা আহতদের পরিবারের কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দীপ্ত ২৪
Theme Customized By Shakil IT Park